প্রত্যয় নিউজডেস্ক: লিবিয়া উপকূলে বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় আরও ১৩ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অরগ্যানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। খবর আল জাজিরার।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় ২২ জন বেঁচে আছেন। যে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে তাদের মধ্যে দু’জন সিরিয়ার এবং একজন ঘানার নাগরিক।
লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এরা মিসর, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, নাইজার, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ঘানার নাগরিক।
আইওএম-এর মুখপাত্র সাফা মেহলি বলেন, উদ্ধার হওয়া লোকজনকে জিটেন বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়েছে। লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকর্মীরা ওই এলাকায় তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এ নিয়ে এক মাসে দু’বার শরণার্থী বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। এর আগে আইওএম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূলে একটি নৌকাডুবে যাওয়ার ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে শরণার্থীরা উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি দিচ্ছে। আর ইউরোপে পাড়ি দিতে লিবিয়া উপকূলই যেন শরণার্থীদের কাছে প্রধান গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
আইওএম-এর হিসাব অনুযায়ী, লিবিয়ায় বর্তমানে ৬ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি শরণার্থী ও অভিবাসী রয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে গিয়ে ৬২০-এর বেশি শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মেহলি আল জাজিরাকে বলেন, এতো মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কেমন যেন স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে যা সত্যিই খুব ভয়ানক। এসব মৃত্যুকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না এবং কোনো ধরনের পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে না।